
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে “জুলাই হত্যাকাণ্ড” নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনজন সাংবাদিক। তাদের প্রশ্ন এবং আচরণ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন এবং “জুলাই হত্যাকাণ্ড” এর গুরুত্বকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে, ফারুকী “জুলাই হত্যাকাণ্ড”-এ ১৪০০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন। এই সংখ্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার “খুনি” সম্বোধন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রহমান মিজান। তিনি ফারুকীকে প্রশ্ন করেন, “জুলাই মাসে ১৪০০ শহীদের কথা আপনি বলছেন কেন? এই সংখ্যা কোথায় পেয়েছেন? এবং কোন যুক্তিতে আপনি হাসিনাকে খুনি বলছেন? আদালত তো এখনো রায় দেয়নি!”
এছাড়াও, চ্যানেল আই-এর সিনিয়র রিপোর্টার বাশার জাতীয় ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্য কিভাবে হবে যদি শোভাযাত্রায় আপনারা হাসিনার এফিজি রাখেন?” এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বিও ফারুকীর ১৪০০ নিহতের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
অভিযোগ উঠেছে, এই তিনজন সাংবাদিক ক্ষমতাসীন দলের “দালাল” হিসেবে কাজ করছেন এবং “জুলাই হত্যাকাণ্ড”-এর মতো গুরুতর ঘটনাকে অবজ্ঞা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিটের রিপোর্টার হওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের প্রতি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন।
অনেকের মতে, এই ঘটনা স্বাধীনতা পরবর্তী সংস্কারের পথে একটি বড় বাধা। তারা বলছেন, সত্যিকারের সংস্কার হলে এই সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কথা বলার সাহস পেতেন না। তারা দীপ্ত টিভি এবং চ্যানেল আই-এর মতো গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এই ঘটনাটি “জুলাই হত্যাকাণ্ড”-এর মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ভূমিকা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, গণমাধ্যম কি নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করছে, নাকি তারা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করছে?