পিওরাইটই নয়, ভেজাল পিওর!

বিডি কভারেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মানহীন ও প্রতারণামূলক পণ্য বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগগুলোর কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘পিওরইট’ নামের একটি ওয়াটার পিউরিফায়ার, যার নাম ও বাজারজাতকরণ কৌশল দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।

ভোক্তাদের অভিযোগ, কোম্পানিগুলো ইউনিলিভারের নাম ব্যবহার করে মানহীন ফিল্টার ও কিট বিক্রি করছে। এতে করে শুধু প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখেও পড়ছেন তারা।

ভুয়া প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণা

ব্যবহৃত কিট দিয়ে অতিরিক্ত পানি শুদ্ধ করা সম্ভব নয়, অথচ তা বিক্রি করা হচ্ছে ‘নতুন’ পণ্যের মতো।

‘ফ্রি কিট’ দেওয়ার নামে গোপনে ম্যানেজ করা হচ্ছে ভোক্তাদের।

অনেক সময় এসব পণ্য ব্যবহারে কোনও মান নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা নেই।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, তারা একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন, যেখানে এসব পণ্য ব্যবহারের ফলে পানি ঠিকমতো পরিশোধিত হয়নি এবং ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অধিদপ্তর এসব পণ্য আমদানিকারক ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।

ভোক্তা সতর্কতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র কেনার আগে অবশ্যই দেখতে হবে যন্ত্রটি বিএসটিআই অনুমোদিত কিনা এবং কোম্পানিটির সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জানা আছে কি না।

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, পরিশোধকের মান নিশ্চিত না হলে তা বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের সচেতনতা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের সমন্বয়ে ভেজাল ও প্রতারণা রোধ করা সম্ভব হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ