পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স এবং পেশোয়ার জালমির মধ্যকার ম্যাচটি ছিল কার্যত একটি ‘অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনাল’। এই ম্যাচে জয়ী দল প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করত, আর পরাজিত দল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেত। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাকিব আল হাসান দুই বছর পর পিএসএলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং তার দল লাহোর কালান্দার্স পেশোয়ার জালমিকে ২৬ রানে হারিয়ে প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তবে, লাহোরকে প্রথম এলিমিনেটরে খেলতে হবে।
রাওয়ালপিন্ডিতে ধূলিঝড় ও বজ্রবৃষ্টির কারণে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। আবহাওয়া শান্ত হওয়ার পর খেলা শুরু হলে ম্যাচটি ১৩ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স ৮ উইকেটে ১৪৯ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পেশোয়ার জালমি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৩ রান করতে সক্ষম হয়। পেশোয়ারের হয়ে ড্যানিয়েল স্যামস ১৪ বলে ২৬ রান এবং আহমেদ দানিয়াল ১৪ বলে ২৪ রান করেন। সাকিব আল হাসান ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
এর আগে, লাহোরের ইনিংসের সময় ওপেনার ফখর জামান ৩৬ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। সাকিব আল হাসান ১১তম ওভারে ব্যাট করতে নামেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। আহমেদ দানিয়েলের স্লোয়ার বলে বোল্ড হন তিনি। ১৫ ম্যাচের পিএসএল ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার শূন্য রানে আউট হলেন সাকিব। সবমিলিয়ে ৪৪৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩১তম বার শূন্যের দেখা পেলেন তিনি। প্রায় ছয় মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিবের জন্য এটি ছিল একটি হতাশাজনক প্রত্যাবর্তন।
