
ছবি: সংগ্রহীত
আসন্ন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ফুটবল ম্যাচের অনলাইন টিকিট বিক্রি নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর জটিলতা কিছুতেই কাটছে না। বারবার ঘোষণা দেওয়ার পরও টিকিটপ্রার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, যা ডিজিটাল পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
টিকিফাইয়ের ভোগান্তি ও দর্শকদের অভিযোগ
টিকিট বিক্রির জন্য বাফুফে যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম টিকিফাইকে বেছে নিয়েছে, সেখানেই মূল সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ওয়েবসাইটে টিকিট কিনতে গিয়ে দর্শকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে; কখনও ২০ মিনিট, আবার কখনও আধ ঘণ্টারও বেশি। এমনকি অনেকেই দীর্ঘ অপেক্ষার পরও টিকিট কিনতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন।
গত শনিবার (২৪ মে) রাতে বাফুফে জানিয়েছিল, টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইট সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং এ জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছিল। শনিবার রাত থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও, সেদিনও বহু দর্শক টিকিট কাটতে পারেননি। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ দর্শককে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ করতে দেখা গেছে।
সোমবার (২৬ মে) রাত ১০টার পর টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কিনতে গেলে দর্শকদের সামনে বার্তা আসছিল – “আপনি এখন লাইনে আছেন। আপনার ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার আনুমানিক অপেক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট।” এমন সমস্যার কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ফুটবল সমর্থকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি।
গতরাতে বাফুফে তাদের ফেসবুক পেজে টিকিট বিক্রি পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিলেও, টিকিটপ্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক ছিল না। জাহিদ হাসান নামের একজন সমর্থক সেখানে লিখেছেন, “আপনারা রসিকতা শুরু করেছেন। ২ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলাম কিন্তু টিকিট কাটতে পারলাম না।”
তবে, বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, সাইবার হামলা এড়াতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, মানুষের কষ্ট হলেও এভাবে টিকিট পাচ্ছেন এবং বাকি ক্যাটাগরির টিকিটও শিগগিরই অনলাইনে ছাড়া হবে।
আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চার বছর পর নতুনভাবে সাজছে জাতীয় স্টেডিয়াম, সঙ্গে হামজা চৌধুরী, শমিত সোম ও ফাহমিদুল ইসলামের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের খেলা দেখার সুযোগ থাকায় এই ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। কিন্তু টিকিট সংগ্রহে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।