
ছবি : সংগ্রহীত
পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ১০ দিনের ছুটির কারণে আবারও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ছুটির মধ্যেও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সচল ছিল, তবে আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বেশিরভাগ শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় কনটেইনার খালাস কার্যক্রম ছিল ধীরগতিতে।
স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে দিনে গড়ে ৪ হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হলেও, ঈদের ছুটির দিনগুলোতে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার করে। এর ফলে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার জমতে শুরু করে, যা ছুটির শেষ দিনে ৪২ হাজার টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) ছাড়িয়ে গেছে। বন্দরের কার্যকর ধারণক্ষমতা যেখানে ৪৫ হাজার টিইইউস, সেখানে এই জট বন্দরের সক্ষমতার প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে পণ্য খালাসে বিলম্ব হওয়ায় বন্দরের বহির্নোঙরেও একাধিক কনটেইনারবাহী জাহাজ অপেক্ষমাণ রয়েছে। বর্তমানে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ৪৫টি বিদেশগামী জাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি কনটেইনারবাহী।
তবে, আজ রবিবার (১৫ জুন) থেকে ছুটি শেষে সব সরকারি অফিস খুলে যাওয়ায় বন্দর আবারও সচল হতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিপিং এজেন্টরা আশা করছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দর ইয়ার্ডে মোট ৫৩ হাজার টিইইউস কনটেইনার রাখার সক্ষমতা থাকলেও, সুষ্ঠু অপারেশনাল কার্যক্রমের জন্য কিছু জায়গা খালি রাখতে হয়, তাই কার্যকর ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার টিইইউসের বেশি নয়।
উল্লেখ্য, গত মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির কারণেও চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হয়েছিল। ওই সময় বন্দরে কনটেইনার সংখ্যা ৪১ হাজার টিইইউস ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা পরে ধীরে ধীরে কেটে যায়। ঈদের ছুটির আগে ৪ জুন বন্দরে আমদানি কনটেইনার ছিল ২৮ হাজার টিইউস, যা ১৪ জুনে এসে ৪২ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেছেন, অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ঈদের ছুটিকে সামনে রেখে আগেই বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সভা করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এই পরিস্থিতি বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে কতটা প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?