ইরানের ‘সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র’সহ অস্ত্রাগারে ইসরায়েলের হামলা

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগ্রহীত

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর ৫০টিরও বেশি বিমান ইরানে হামলা চালিয়েছে। এই হামলা মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্র’ এবং দেশটির ‘বেশ কয়েকটি অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

 

টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে, এটি ‘ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি গুঁড়িয়ে দেওয়ার’ অংশ হিসেবে সর্বশেষ এই হামলা চালিয়েছে। তবে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থা আইএইএ এবং মার্কিন গোয়েন্দারাও তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে একই রকম মূল্যায়ন করেছে।

 

ইসরায়েলি বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো ভূমি থেকে ভূমি এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য ‘কাঁচামাল এবং উপাদান’ উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতেও আক্রমণ করেছে।

 

ইসরায়েলের ওপর হামলার তুলনায় ইরানে ৫ গুণ বেশি হামলা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ক্রিটিকাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি) এবং ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছে যে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইরানের বিভিন্ন স্থানে, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের হামলার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
সিটিপি-আইএসডব্লিউ জানিয়েছে, গত ১৩ জুন ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা ইরানের উপর ১৯৭টি বিমান হামলার রিপোর্ট বা নিশ্চিত রেকর্ড পাওয়া গেছে। বিপরীতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলো ইসরায়েলে ৩৯টি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা ইন্টারসেপ্টর আঘাতের রিপোর্ট বা নিশ্চিত তথ্য রেকর্ড করেছে।

 

সিটিপি-আইএসডব্লিউ সাম্প্রতিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আকার সীমিত হয়ে আসার বিষয়টি লক্ষ্য করেছে, যার জন্য তারা ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক (মিসাইল লঞ্চার) এবং সংরক্ষণাগার ধ্বংসকে দায়ী করেছে।

সূত্র: আলজাজিরা।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ