
ছবি : সংগ্রহীত
এই ব্যাংকটির নাম ‘অমৃত কোষ’, যা নেপাল সরকার এবং ইউনিসেফের অর্থায়নে রাজধানী কাঠমান্ডুতে স্থাপন করা হয়েছে।
নবজাতক শিশুদের জন্য মায়ের দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক প্রসূতি মায়ের স্তনে দেরিতে দুধ উৎপাদন হয়, আবার অনেক অপরিণত বা বিপদগ্রস্ত নবজাতককে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে মায়ের থেকে আলাদা রাখতে হয়। এই পরিস্থিতিতে শিশুরা যেন মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে নেপাল সরকার। এছাড়া, নেপালে উচ্চমাত্রার শিশুমৃত্যু হার এবং জন্মহার কমে যাওয়াও এই ব্যাংক স্থাপনের অন্যতম কারণ।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ১৫ লাখেরও বেশি অপরিণত শিশু জন্ম নেয়, যার মধ্যে ৮১ হাজার শিশু নেপাল এবং অন্যান্য নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলোতে জন্ম নেয়। এই শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাই ‘অমৃত কোষ’-এর মূল লক্ষ্য।
কাঠমান্ডুর পরোপকার মেটার্নিটি হাসপাতালে সদ্য জন্ম দেওয়া সারিতা ক্ষাত্রী তামাং নামের এক নেপালি মায়ের স্তনে দুধ তৈরি না হলেও, তার নবজাতক শিশু ‘অমৃত কোষ’ থেকে নিয়মিত দুধ পাচ্ছে। অন্যান্য মায়েরা এই ব্যাংকে তাদের দুধ দান করছেন, যা প্রয়োজন অনুযায়ী শিশুদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা দপ্তরের প্রধান ডা. বিবেক কুমার লাল জানিয়েছেন, ‘অমৃত কোষ’-এর বর্তমান সক্ষমতা প্রতি মাসে ৫০০ জন শিশুকে নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ সরবরাহ করার মতো। তিনি强调 করেছেন যে, নবজাতকদের জন্য মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নেই, কারণ এটি শিশুর পুষ্টির প্রধান উৎস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে। পাশাপাশি, নবজাতকদের নিয়মিত দুধ পান করানো প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
ডা. বিবেক কুমার লাল আরও জানিয়েছেন যে, বাজেট ঘাটতির কারণে আপাতত কাঠমান্ডুর বাইরে দেশের অন্য কোনো জেলায় ‘অমৃত কোষ’-এর শাখা স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অদূর ভবিষ্যতে নেপালের সব জেলায় এই ব্যাংকের শাখা স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।