
ছবি : সংগৃহীত
*দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। প্রবাসী শ্রমিক ও অভিবাসীরা তাদের আয় বাড়িয়ে পাঠানোয় রিজার্ভের ওপর চাপ কমেছে। গত ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, যা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণগুলো হলো:
-প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোয় সরকারি উদ্যোগ, রপ্তানি আয়ে স্থিতিশীলতা এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, “বর্তমান পরিস্থিতি ইতিবাচক। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে। রিজার্ভ বাড়লেও সতর্ক থাকতে হবে।”
আইএমএফের ঋণ সহায়তা পেতে বাংলাদেশকে রিজার্ভ সংক্রান্ত কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হয়েছে। বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের হিসাব পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রিজার্ভ বাড়লেও বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে।
সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিসমূহ রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে, দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমানোই বড় চ্যালেঞ্জ।