
ছবি : সংগৃহীত
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের দারুণ সুযোগ তৈরি করেও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ১ উইকেটে ১০০ রান তোলার পর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি হেরে যায় মিরাজ-শান্তরা। আড়াইশোর কম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ব্যর্থ হন শান্ত-লিটন দাসরা। ম্যাচ শেষে এমন ব্যাটিং ধসের কারণ জানিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
ম্যাচটিতে দারুণ বোলিং করা এই টাইগার পেসার বলেছেন, “আসলে কলম্বোর প্রেমাদাসা (উইকেট) একটু ট্রিকি। (ওয়ানিন্দু) হাসারাঙ্গার ওভারে (নাজমুল হোসেন শান্ত’র) রানআউটের পর (তানজিদ) তামিমের আউটটা, এরপর আমাদের খুব বাজে একটা ব্যাটিং কলাপ্স হয়েছে। ওই মুহূর্তে ১ ওভারে ২ উইকেটই ওদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। অবশ্যই আমরা মাঝে বাজে ব্যাট করেছি। অথচ শুরুটা কিন্তু দারুণ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “১৬ ওভারে ১০০। এরপর একটার পর একটা (উইকেট), এটা আমাদের জন্য অনেক দামী হয়ে গেছে। জাকের (আলী অনিক) সেট হয়ে গিয়ে কিন্তু দারুণ ব্যাটিং করছিল। ফিফটিও মেরেছে। ওর সঙ্গে ২-৩ জন ব্যাটার থাকলে এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারতাম। মেনে নিচ্ছি আমরা ভালো ব্যাট করতে পারিনি। ২-৩ জনের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি এতটা বাজে ছিল উইকেট। এটা আমাদেরই কিছুটা ব্যর্থতা আছে।”
প্যানিক হয়েই এমন ব্যাটিং বিপর্যয় কি না প্রশ্নে তাসকিনের জবাব, “একটা ওভারে ২ সেট ব্যাটার আউট হওয়ায় কিছুটা প্যানিক তো হয়েছেই। চাপের মধ্যে যেভাবে আউট হয়েছে তা কিছুটা অপ্রত্যাশিতই ছিল। আপনারাও জানেন, যেভাবে আউট হয়েছে এতটাও বাজে দল আমরা না। সবার সামর্থ্য আছে। কলাপ্সটার জন্যই হেরে গেলাম। আশা করি উইকেটের ধরন, ওদের নিয়ে স্টাডি করে পরের ম্যাচে ভালো কিছু হবে ইনশা-আল্লাহ।”
বারবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর টাইগার ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তাসকিন তাতে ঘাটতি দেখেন না। তিনি বলেন, “সামর্থ্য জিনিস যেটা, এটাও বুঝতে হবে আমাদের যে পাইপলাইন আছে, এর মধ্যে এই ১৫-২০ জনই আমাদের বেস্ট। এটা নিয়েই আমরা আগাচ্ছি। হয়তো আমাদের ব্যাটিং-বোলিং মিলে গেইম এওয়ারনেস বা মেন্টালি আমরা কিছুটা পিছিয়ে, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যান্য দলের চেয়ে, বিশেষ করে ভালো দলগুলো থেকে। এসব জায়গায় আমরা উন্নতি করার যথেষ্ট চেষ্টা করছি। পরিবেশ, কালচার এসব মিলিয়ে। হয়তো বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বলছি ট্রানজিশন পিরিয়ড চলছে। একটু সময় নিয়ে নিচ্ছে। এখান থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতেই হবে।”