
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের সময় মাঠে অপ্রত্যাশিত অতিথি হিসেবে হাজির হয় একটি বড় সাপ। ম্যাচের তৃতীয় ওভার চলাকালীন প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের পিচের কাছাকাছি এলাকায় সাপটি দেখা গেলে মুহূর্তের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় ঘটনাটি। তবে খেলা থামানো হয়নি, বরং সাপটি নিজে থেকেই মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে ক্রিকেট কর্মকাণ্ড চলতে থাকে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মাঠে সাপের দেখা পাওয়া নতুন কিছু নয়। অতীতেও এখানে খেলা চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছে। টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া সাপটি মাঠজুড়ে দৌড়াতে থাকায় দর্শক ও ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে হালকা উত্তেজনা তৈরি হয়। ধারাভাষ্যকার মন্তব্য করেন, “সাপটি যেন নিজেই একটি রান নেওয়ার চেষ্টা করছে!” তবে খেলোয়াড়রা ঘটনাকে গুরুত্ব দেননি এবং ম্যাচ অফিসিয়ালরাও হস্তক্ষেপ করেননি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা দল শুরুতে ধাক্কা খেয়েছিল। মাত্র ৬.১ ওভারেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯ রানে পড়ে যায়। তবে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ১০৬ রানের দৃঢ় ইনিংস খেলে দলকে ২৪৪ রানে নিয়ে যান। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ উইকেট এবং তানজিম হাসান সাকিব ৩ উইকেট শিকার করে স্বাগতিকদের রান প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
২৪৫ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শুরুটা মিশ্র ছিল। ওপেনিং জুটিতে তানজিদ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত রান সংগ্রহ করলেও শ্রীলঙ্কার বোলাররা চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তবে সাপের ঘটনার পরও বাংলাদেশের ব্যাটাররা ফোকাস ধরে রেখেছে।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে ইতিপূর্বেও সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে। স্থানীয়রা এটিকে স্টেডিয়ামের একটি ‘অনন্য বৈশিষ্ট্য’ হিসেবে দেখেন। তবে নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত থাকেন।
খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উত্তেজনা থাকবে, তবে সাপের এই অপ্রত্যাশিত আগমন ম্যাচটিকে একটি মজাদার স্মৃতি হিসেবে রেখে দেবে।