১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান: মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছরটা বলিউডের নবাব সাইফ আলি খান-এর জন্য বেশ খারাপ সময় বয়ে এনেছে। ২০২৫ সালের শুরুতে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হওয়ার পর এবার আদালত থেকে আরও বড় ধাক্কা পেলেন এই অভিনেতা। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পতৌদি পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে দাবি করা প্রায় ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করতে চলেছে। গত শুক্রবার ভারতের মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্ট সাইফের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। সেই বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট ১৯৬৮’-এর আওতায় শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। অর্থাৎ, এই সম্পত্তিকে বিদেশি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করে তা সরকারের অধীনে আনা হবে। কারণ, নবাব হামিদুল্লাহ খানের কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকাপাকিভাবে পাকিস্তানে বসবাস শুরু করেন। সেই সূত্রেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করেন সাইফ আলি খান। দীর্ঘ দিন স্থগিতাদেশ জারি থাকলেও, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়। অবশেষে এ বছর জুলাই মাসে সাইফের আবেদনও বিচারপতিরা খারিজ করে দেন।
পতৌদি পরিবারের উত্তরাধিকার ও আইনি জটিলতা
কী এই শত্রু সম্পত্তি আইন? আসলে ১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল একটি প্রিন্সলি স্টেট। যার শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। তিনি সাইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তার তিন কন্যার মধ্যে যিনি বড়, সেই আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতেই থেকে যান এবং বিয়ে করেন সাইফের দাদা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। এর ফলে সাইফের দাদা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হয়ে যান।

 

২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেয়, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি এবং তার নাতি সাইফ আলি খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় সরকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। আর এই সম্পত্তির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর থেকেই নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ