ফরিদপুরে অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি ‘ ফিরোজ’ গ্রেপ্তার, আহত মেম্বার।

বিডি কভারেজ

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুরে ৯ পদাতিক ডিভিশনের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের আওতাধীন ১৫ আর ই ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে গত ৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে দিবাগত রাতে এক বিশেষ যৌথ অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত দুর্ধর্ষ অপরাধী ফিরোজ মোল্লা গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের বাবলু মেম্বারের ছোট ভাই আক্তার শেখের বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এই অভিযানের সময় বাবলু মেম্বার আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

বাবলু মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছুদিন ধরে ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিজয় হাসান বাবলু গং, তার ছোট ভাই আক্তার শেখ, এবং ভাতিজা রাকিবের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট অফিসের কেবল কেটে এলাকাকে ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হচ্ছিল। তারা এবং তাদের দল নিয়মিতভাবে এই কাজ করে আসছিল। এছাড়াও, বাবলু মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযানের ফলাফল ও এলাকাবাসীর স্বস্তি।

বহুল আলোচিত ৭ নং অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার বিজয় হাসান বাবলু এতো দিন নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ৪ জুলাই মধ্যরাতে এই অভিযানের মাধ্যমে তার অপরাধ সংগঠনের মূল কেন্দ্র অর্থাৎ তার আপন ছোট ভাইয়ের বাড়ি থেকে একাধিক হত্যা মামলার অন্যতম মূল হোতা ফিরোজ মোল্লাকে আটক করে যৌথ বাহিনী। অভিযান চলাকালীন বাবলু মেম্বার আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা গেছে। বাবলু মেম্বারের ভাতিজা রাকিব ও ভাই আক্তার পলাতক আছেন।এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আক্তার ও রাকিবসহ তাদের অন্যান্য সদস্যদের অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে যৌথ বাহিনী। এতে অম্বিকাপুর ইউনিয়নসহ সারা ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাবলু মেম্বার ও তার পরিবারের অপকর্মের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলেও তিনি বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছিলেন। পরিশেষে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রমাণ মিলল।যৌথ বাহিনীর এই অভিযানকে অম্বিকাপুর ইউনিয়নবাসী একটি কার্যকর পদক্ষেপ বলে মনে করে ধন্যবাদ জানিয়েছে। জনগণ মনে করছে, এতে এই অঞ্চলের মানুষ স্বস্তি ফিরে পাবে, যা তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেম্বার দ্বারা এমন অপরাধ সংঘটিত হবে, এমনটা তাদের জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে কখনো প্রত্যাশা করেনি বলে অনেকেই মনে করছেন। ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় জনগণ। অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী এবং এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ