
রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যেখানে ৪৯ জন আরোহী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় কেউই জীবিত নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
বিমানটি ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে উড্ডয়নের পর তিন্দা শহরের দিকে যাত্রা করছিল, যার মোট দূরত্ব প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজন শিশু সহ মোট ৪৩ জন ছিলেন, এছাড়াও ছয়জন ক্রু সদস্য onboard ছিলেন।
জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গন্তব্যস্থলের কাছাকাছি আসার সময় হঠাৎ করেই বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় বিমানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোসাভিয়াটসিয়ার পরিচালিত একটি এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত বিমানের পুড়ে যাওয়া কাঠামো শনাক্ত করেছে। বিমানের ধ্বংসাবশেষ আমুর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
সরকারি বার্তা সংস্থা এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অবতরণের সময় পাইলটের ভুল এবং খারাপ আবহাওয়া ও দৃশ্যমানতা—এই দুই কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল সোভিয়েত আমলের অ্যান্টোনভ এএন-২৪ মডেলের। ১৯৫০-এর দশকে নির্মিত এই বিমান সাধারণত যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হতো। যদিও বর্তমানে এর বাণিজ্যিক ব্যবহার অনেক কমে এসেছে, তবুও এটি এখনো রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বিমানটি পরিচালনা করছিল আঙ্গারা এয়ারলাইন্স, যারা মূলত রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল ও পূর্ব সাইবেরিয়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করে।