লুটেরাদের নির্লজ্জ জীবন: প্রবাসে বিলাস, দেশে প্রশ্নের ঝড়

বিডি কভারেজ

দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে সাবেক কিছু ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের প্রবাসজীবন। এক সময় দেশের নীতিনির্ধারক পদে থেকে যাঁরা ছিলেন আলোচনার শীর্ষে, এখন তাঁরাই আলোচিত অন্য কারণে। অভিযোগ, তাঁরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করে এখন বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন।

 

৫ আগস্টের গণআন্দোলনের পর একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী দেশের মাটি ছেড়ে পাড়ি জমান ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকায়। কেউ কেউ পরিবারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন লন্ডন, দুবাই, নিউইয়র্ক বা কলকাতার অভিজাত এলাকায়।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, প্রবাসে থাকা একাধিক সাবেক মন্ত্রী আনন্দ-উৎসবে মেতে আছেন। বিষয়টি জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন, যারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছেন, তারা কীভাবে এত নির্বিঘ্নে বিদেশে বিলাসী জীবন যাপন করেন?

 

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দেশের আইনের শাসন এবং আর্থিক জবাবদিহিতার জন্য এক বড় প্রশ্নবোধকচিহ্ন। সরকার যদি এদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র অনুযায়ী, ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে অনুসন্ধানকারীদের দাবি, এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে, যা জনআস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

 

জনগণের প্রত্যাশা, যাঁরা দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে আত্মগোপন করেছেন, তাঁদের দ্রুত বিচার ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষা করা হবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ