সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাপ্রবাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চরম অবনতি দেখা দিয়েছে। উভয় দেশই একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করেছে।
ভারতের পদক্ষেপ:
সিন্দু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত: ভারত সিন্দু জলবন্টন চুক্তি বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে।
আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ: দুই দেশের প্রধান স্থল সীমান্ত আটারি-ওয়াঘা বন্ধ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল: ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
পাকিস্তানিদের ২৭ ধরনের ভিসা প্রত্যাহার: ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরির ভিসা বাতিল করে পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফেরত আসার পরামর্শ: পাকিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফিরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধকতা: ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক, নৌ এবং বায়ু উপদেষ্টাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা: লাহোরে ভারতীয় কনস্যুলেটের কর্মীদেরও একইভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দূতাবাস সদস্য সংখ্যা হ্রাস: ভারতের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জন করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পদক্ষেপ:
ভারতের সাথে সব বাণিজ্য বন্ধ: পাকিস্তান ভারতীয় পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে।
ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ: ভারতের বিমানগুলোর জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ: উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে।
সিন্দু জল বন্ধ হলে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হবে: পাকিস্তান সতর্ক করেছে, যদি সিন্দুর জল প্রবাহ বন্ধ হয়, তবে তা যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য হবে।
শিশমা চুক্তি স্থগিতের হুমকি: পাকিস্তান ভারত-পাকিস্তান শিক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিও স্থগিত করতে পারে বলে জানিয়েছে।
সব রকমের ভিসা বাতিল: পাকিস্তান ভারতে ভ্রমণের জন্য জারি করা সব ধরণের ভিসা বাতিল করেছে, তবে শিশুদের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয়দের দেশত্যাগের নির্দেশ: পাকিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয়দের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।
‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা: পাকিস্তানে ভারতীয় নৌ ও বায়ুসেনা উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে।
দূতাবাস সদস্য সংখ্যা হ্রাস: পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা ১০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে।