ইসরাইলে দাবানলের ভয়াবহতা: অবিচারের শাসনে আগুনের বার্তা?

বিডি কভারেজ

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করেই ইসরাইলের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল। বনাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা এমনকি কিছু জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলও এই আগুনের কবলে পড়েছে। দেশটির ফায়ার সার্ভিস এবং জরুরি উদ্ধারকারী বাহিনী পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগুনে পুড়ে গেছে অগণিত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দাবানল নিছক একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নাও হতে পারে। কিছু সূত্র দাবি করছে, এটি হতে পারে রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলাফল বা প্রতিশোধমূলক কার্যক্রমের অংশ। ইসরাইলি সরকার যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ জানায়নি, তবে জনমনে শঙ্কা ও আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে।

 

এদিকে, বিশ্বজুড়ে মুসলিম জনগোষ্ঠী এই ঘটনাকে দেখছেন এক ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। অনেকেই মনে করছেন, এটি অবিচার, হত্যা এবং নিপীড়নের প্রতিফল। গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ, পবিত্র স্থানসমূহে আগ্রাসন এবং সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে একটি হুঁশিয়ারি।

 

“আবার যেন পৃথিবী দেখুক আগুনের আবাবিলের ধ্বংসযজ্ঞ”—এই মর্মে লাখো লাখো মানুষ আল্লাহর দরবারে দুয়া করছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “যেখানে মানবতা কাঁদছে, সেখানে খোদার ন্যায়ের আগুন জ্বলবেই।”

 

নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যায়োনিস্ট রেজিম এই মুহূর্তে প্রবল চাপের মুখে। আন্তর্জাতিক মহলেও ইসরাইলের সাম্প্রতিক নীতিমালা ও সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই দাবানল যেন আরও একটি বার্তা—অত্যাচারের শেষ হয়, আর সেই শেষটা হয় ভয়ানক।

ইতিহাস সাক্ষী, কোনো জুলুম দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আজ আগুন দাবানলের রূপে নেমে এসেছে, কাল হয়তো অন্য কোনো রূপে। মানুষ যখন অসহায় হয়, তখনই আসমান থেকে নেমে আসে ন্যায়ের হাত। এই দাবানল হয়তো সেই ন্যায়েরই আগমনী সঙ্কেত।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ