
কাশ্মীর সীমান্তে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নতুন মোড় নিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে আজ সকালে জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তান এই বিমানগুলো ভূপাতিত করার দাবি করেছিল, যা ভারতের এই স্বীকারোক্তিতে আংশিকভাবে সত্য প্রমাণিত হলো।
তবে, ভারতীয় কর্মকর্তারা বিমান বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি এবং পাকিস্তানের বিমান ভূপাতিত করার দাবিও নিশ্চিত করেননি। তারা এই সামরিক সংঘাতের বিষয়ে কৌশলগতভাবে নীরবতা বজায় রেখেছেন।
এই ঘটনা ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় বিমান হারানোর বিষয়ে ভারতের প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি। যদিও বিমানগুলো কীভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও অজানা।
এদিকে, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঁকান ফিদানের সাথে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার টেলিফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সাথে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।
ইসলামাবাদে বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল প্রস্তুতি নিয়েছে এবং পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে গ্রাউন্ড অ্যাটাকের প্রস্তুতি নেওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দুই দেশের সংঘাতকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ আজ সকালেই জরুরি বৈঠকে বসবে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “পৃথিবী ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের ভার সহ্য করতে পারবে না।” আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উভয় দেশের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এই উত্তেজনা আর না বাড়ে।