আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ: স্বাস্থ্যসেবায় অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি!

নিজেস্ব প্রতিবেদক

আজ ১২ মে, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। এই দিনটি আধুনিক নার্সিং পেশার প্রবর্তক ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর উদযাপিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য—“নার্সদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করুন, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করুন”—প্রাসঙ্গিকভাবেই তুলে ধরছে বর্তমান বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপট।

 

 

বাংলাদেশে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে এক কঠিন বাস্তবতায়। দেশে বর্তমানে নার্সের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় আশঙ্কাজনকভাবে কম। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার অনুপাতে দেশে প্রয়োজন ৩ লাখ ১০ হাজার ৫০০ জন নার্স, সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন। এই ঘাটতি চিকিৎসাসেবার মানকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।

 

নার্সরা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেন। রোগীর শুশ্রূষা, ওষুধ প্রয়োগ, পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে মানসিক সাপোর্ট দেওয়া পর্যন্ত নার্সদের ভূমিকা অপরিসীম। তবে বাস্তব চিত্র বলছে, অধিকাংশ নার্সকেই দৈনিক গড়ে কয়েক গুণ বেশি রোগীর সেবা দিতে হয়, যার ফলে তারা বার্নআউট হয়ে পড়েন এবং সেবার মানও হ্রাস পায়।

 

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র নার্স বলেন, “আমাদের যথাযথ কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ ছাড়া রোগীদের মানসম্মত সেবা দেওয়া কঠিন। অথচ এই পেশায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

 

এ বছর আন্তর্জাতিক নার্স দিবসে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নার্সদের স্বাস্থ্য, মানসিক প্রশান্তি এবং কর্মপরিবেশের উন্নয়নে। কারণ নার্সদের সুস্থতা মানেই স্বাস্থ্যব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী হওয়া।

 

এ দিবসে সরকার, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সকল স্তরে নার্সদের অবদানকে সম্মান জানানো এবং তাদের অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নেওয়া প্রয়োজন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ