ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন যে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দায়িত্বশীল আচরণ করুক পাকিস্তান।
তিনি বলেন, নিজেরা সংঘর্ষ বিরতি চাইল, নিজেরাই ভাঙল। নিজেরাই ফোন করে প্রস্তাব দিল সংঘর্ষবিরতির। ভারত সম্মতি জানাল, ঘোষণা হল সংঘর্ষ বিরতি। তার ঘণ্টাখানেক বাদেই আবার নিজেরাই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করল। নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করার পর পাকিস্তানের বিবৃতি, ভারতই নাকি সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। পাক সেনাদের সংযত হতে বলা হয়েছে।
শনিবার, ১০ মে বিকেল ৫টা থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি শুরু হয়। ঘড়ির কাঁটায় ৯টা বাজতেই আবার পুরনো ফর্মে পাকিস্তান। সংঘর্ষ বিরতির কথা ভুলে ফের ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠাতে শুরু করল পাকিস্তান। ভারত সেই হামলাও প্রতিহত করেছে।
এরপর রাতেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন যে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দায়িত্বশীল আচরণ করুক পাকিস্তান।
ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করেই পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দেয়, “পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিছু জায়গায় ভারত সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে, আমাদের বাহিনী দায়িত্বশীল ও সংযতভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে।”
পাকিস্তান আরও বলেছে, “সংঘর্ষ বিরতি যাতে বিনা বাধায় কার্যকর হয়, তার জন্য যথাযথ স্তরে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সীমান্তে থাকা বাহিনীরও সংযত থাকা উচিত।”
সংঘর্ষ বিরতি ভেঙেও কার্যত ভারতের ঘাড়েই দোষ ঠেলল পাকিস্তান। এবার ভারত এর জবাব কী দেয়, তাই দেখার। গতকালই বিদেশ সচিব জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।