ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি ও খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হজরত মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে যান। সেখানে ভুনা সান্ডা আনা হলে রাসুলুল্লাহ (সা.) সেটির দিকে হাত বাড়াচ্ছিলেন। তখন মায়মুনা (রা.)-এর ঘরে থাকা এক নারী সাহাবাদের বলেন যে, তারা যেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানান তিনি কী খাচ্ছেন। সাহাবারা যখন এটি সান্ডা বলে জানালেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) হাত সরিয়ে নেন। ইবনে আব্বাস (রা.) জিজ্ঞেস করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন যে এটি হারাম নয়, তবে তাদের এলাকার খাদ্য না হওয়ায় তিনি এটি খেতে আগ্রহী নন। এরপর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনেই সেই পাত্র থেকে সান্ডার মাংস খান। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৩৭, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৪৪)
অধিকাংশ ইসলামিক পণ্ডিত, যেমন ইমাম শাফেয়ি, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম মালেক (রহ.)-এর মতে সান্ডা খাওয়া হালাল। তাদের যুক্তি হলো, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সামনে সান্ডা খাওয়া হয়েছে এবং তিনি তা নিষেধ করেননি।
তবে হানাফি ফকিহগণ সান্ডা খাওয়াকে মাকরুহে তাহরিমি (অনুচিত) বলেছেন। তাদের মতে, সান্ডা খাবাইস (নাপাক ও অরুচিকর) প্রাণীদের অন্তর্ভুক্ত এবং তারা কুরআনের আয়াত ‘আর তিনি তাদের জন্য অপবিত্র বস্তুসমূহ হারাম করেছেন’ (সুরা আরাফ: ১৫৭) এর ভিত্তিতে এটি বলেন। তারা আরও উল্লেখ করেন যে সান্ডা খাওয়ার হাদিসগুলো সম্ভবত এই আয়াত নাজিল হওয়ার আগের ঘটনা।