১৭ মে ২০২৫, শনিবার, মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালত রায় ঘোষণা করেছে। মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক এম জাহিদ হাসান প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে অপর তিন আসামি—হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম এবং দুই ছেলে সজিব শেখ ও রাতুল শেখ—কে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের আদালতে হাজির করার পর গত ১৩ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে এবং রায় ঘোষণার জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করা হয়। মামলার কার্যক্রমে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মোট ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১২ জন আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানতে পারেন, মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ছিল এবং পাঁচজন চিকিৎসক সেগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই সার্টিফিকেটগুলো আদালতে উপস্থাপিত হয় এবং সাক্ষীদের মাধ্যমে তাদের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ আছিয়া (৮) নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আন্দোলন হয়।
মামলার মূল আসামী হিটু শেখ ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, যেখানে তিনি একাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন। তবে ১৩ এপ্রিল তদন্তের পর অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এই ঘটনার রায় জনমনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং এটি সমাজের ওপর একটি গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।