ওয়েম্বলিতে এক অভাবনীয় ইতিহাস রচিত হলো। ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এফ এ কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিল ক্রিস্টাল প্যালেস। এই জয় শুধু একটি ফাইনালের জয় নয়, এটি ক্রিস্টাল প্যালেসের দীর্ঘ ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো বড় শিরোপা জয়ের সোনালী মুহূর্ত।
তবে এই ঐতিহাসিক জয়ের পথে বিতর্কও সঙ্গী ছিল। ম্যাচের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে যখন ক্রিস্টাল প্যালেসের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন হ্যান্ডবল করা সত্ত্বেও লাল কার্ড এড়িয়ে যান। এর কয়েক মিনিট পরেই তিনি ওমর মারমুশের পেনাল্টি রুখে দেন, যা শেষ পর্যন্ত প্যালেসের জয়ের মূল ভিত্তি স্থাপন করে।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ৫ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের সামনে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ এলেও তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি।
অন্যদিকে, ক্রিস্টাল প্যালেস সুযোগের অপেক্ষায় ছিল এবং সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা বাজিমাত করে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে এবেরেচি এজের অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যায় ক্রিস্টাল প্যালেস।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন ম্যানসিটির সিলভা এবং পেনাল্টি পায় সিটি। কিন্তু হালান্ডের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক হেন্ডারসন। ফলে ১-০ গোলের লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় ক্রিস্টাল প্যালেস।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে মুনোসের একটি প্রচেষ্টা জালে জড়ালে ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা গোলের আনন্দে ভেসে যান। তবে ভিএআরের হস্তক্ষেপে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে বেঁচে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। অতিরিক্ত ১০ মিনিটেও গোল করতে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রিস্টাল প্যালেস এবং প্রথমবারের মতো কোনো বড় শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে।
এই ঐতিহাসিক জয়ের ফলে ক্রিস্টাল প্যালেস আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করেছে। অন্যদিকে, পেপ গার্দিওলার অধীনে ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এই প্রথম ম্যানচেস্টার সিটি কোনো মৌসুম শিরোপাহীনভাবে শেষ করল। গতবারও তারা এফ এ কাপের ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরেছিল।
