জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জনপ্রিয় উপস্থাপিকা তমা রশিদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তিনি এক আনুষ্ঠানিক নোটিশে অভিযোগ করেন, তমা রশিদ বিভিন্ন টিকটক ও বিনোদনজগত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরিচালিত অনুষ্ঠানগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এমন ভাষা ব্যবহার করছেন, যা দেশের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আইনজীবী অভিযোগ করেন, এসব অনুষ্ঠানের ভাষা ও বিষয়বস্তু শিশু-কিশোরদের মনস্তত্ত্ব, নৈতিক গঠন এবং সামাজিক উপলব্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার ৩.৬.৩ ধারা অনুযায়ী, অশ্লীল ও সহিংসতামূলক উপাদান থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু তমা রশিদ সেই নির্দেশনা অমান্য করছেন বলে অভিযোগ উঠে।

এছাড়া তিনি নীতিমালার ৩.৬.৫ ধারার উল্লেখ করে বলেন, কোনো ধরনের অশোভন উক্তি, আচরণ কিংবা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রদর্শনের সময় গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। অথচ তমা রশিদ তার অনুষ্ঠানগুলোতে এমন শব্দ ও বিষয়বস্তু তুলে ধরছেন, যা সমাজে কুরুচিপূর্ণ ও অপরাধপ্রবণ আচরণকে উৎসাহিত করছে।

আইনজীবী জানান, দেশের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ রক্ষার স্বার্থে এই ধরনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তমা রশিদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এই নোটিশ প্রদান করেছি, যাতে ভবিষ্যতে তিনি আর এ ধরনের অশালীন উপস্থাপনা না করেন।”

ঘটনার প্রেক্ষিতে মিডিয়া সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন ও গণমাধ্যমে শালীনতার প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।