
জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার থাইল্যান্ড সফর আকস্মিকভাবে স্থগিত হয়ে যায় রোববার (১৮ মে) সকালে, যখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটকে দেয়। আটকের পরপরই তাকে ভাটারা থানায় নেওয়া হয়, পরে সেখান থেকে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) কার্যালয়ের পথে রওনা হয় একটি দল।
এখনো তাকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি, তবে পুলিশ সূত্র বলছে—তার বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে: হত্যাচেষ্টা মামলা। অভিযোগটি ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে দায়ের করা হয়েছিল, যেখানে তাকে রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং অর্থায়নের অভিযোগে যুক্ত করা হয়। মামলার বাদী এনামুল হক দাবি করেছেন, ফারিয়া ওই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
এই মামলায় শুধুমাত্র নুসরাত ফারিয়াই নন, অভিযোগে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ২৮৩ জন ব্যক্তিও। মামলার ভাষ্য অনুযায়ী, এদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি।
তবে এখানেই থেমে নেই প্রশ্ন। একজন চলচ্চিত্র তারকা কীভাবে এমন একটি রাজনৈতিক মামলার কেন্দ্রে এসে দাঁড়ালেন? নুসরাত ফারিয়া তার ক্যারিয়ারে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন, পাশাপাশি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রকল্পে যুক্ত থেকেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে অর্থায়নের মতো অভিযোগ অনেকের কাছেই বিস্ময়কর বলে মনে হচ্ছে।
ভাটারা থানার ওসি মাজাহারুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা এখনো তাকে গ্রেফতার দেখাইনি। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাটি কেবল একজন অভিনেত্রীর আটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—বরং এটি বড় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ বিচারিক প্রক্রিয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এখন দেখার বিষয় হলো, গোয়েন্দা তদন্তের পর আদৌ কি ফারিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হবে, না কি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়ে মুক্তি পাবেন তিনি।