ব্যক্তিগত ডায়েরিতে ‘সুইসাইড নোট’ লিখে প্রাণ দিলেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার। রোববার (১৮ মে) দুপুরে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস নেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২৩) ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকারের ছেলে।
মৃত্যুর আগে নিজের ডায়েরিতে ধ্রুবজিৎ লিখেছেন,
স্যরি মা-বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (...), টাকা গুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসী নিয়েই পড়বো। এতো চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব ছিলো না। বিদায়। হরেকৃষ্ণ।"
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সিএসই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। রোববার সকালে পরীক্ষা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে ধ্রুবজিতকে নকলের দায়ে পরীক্ষার খাতা ও এডমিট জমা নিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন শিক্ষক।
এরপরই কলেজের আবাসিক অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে গিয়ে মৃত্যুর কারণ লিখে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ধ্রুবজিৎ। দুপুর পৌনে ১টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তার রুমমেট গিয়ে দরজা বন্ধ দেখে জানালা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।