হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে। পাইলটের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত এবং দক্ষতার কারণে প্রাণে বেঁচে গেছেন ২৯১ জন আরোহী।
মঙ্গলবার (২০ মে, ২০২৫) সকাল ৭টা ৮ মিনিটে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট বিমানের দুটি ইঞ্জিনের একটিতে 'স্পার্ক' দেখতে পান। পরিস্থিতি গুরুতর বুঝতে পেরে পাইলট দ্রুত জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আকাশে চক্কর দিয়ে অতিরিক্ত তেল পুড়িয়ে ফেলেন এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সকাল ৮টা ২ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করান।
বিমানটি অবতরণের পর বিমানবন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম ইঞ্জিন পরীক্ষা করে। পরীক্ষার সময় ইঞ্জিনের ভেতর থেকে একটি মৃত পাখি উদ্ধার করা হয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ এই বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, "উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, এটি 'বার্ড হিট'-এর (পাখির আঘাত) ঘটনা হতে পারে।"
ফ্লাইটটিতে ১৯ জন বিজনেস শ্রেণির যাত্রী, ২৫৬ জন ইকোনমিক শ্রেণির যাত্রী, পাঁচজন শিশু এবং ১১ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের নিরাপদে হোটেলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং বিকল্প ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিমান দুর্ঘটনায় একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ মে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল। তবে সেবারও পাইলটের দক্ষতায় ৭১ জন যাত্রীসহ ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছিল।