উত্তর-পূর্ব চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রকোনোসে পর্বতমালায় আরোহণের সময় দুই পর্বতারোহী একটি রহস্যময় অ্যালুমিনিয়াম বাক্স খুঁজে পেয়েছেন, যা খুলে তারা আবিষ্কার করেছেন অমূল্য এক গুপ্তধন। এই আবিষ্কার আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, বাক্সটির ভেতরে ছিল ১০টি সোনার ব্রেসলেট, একটি পাউডার কম্প্যাক্ট, মোট ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা এবং একটি চিরুনি। উদ্ধারকৃত এই সোনার গুপ্তধনের বর্তমান বাজার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা (আজকের রেট অনুযায়ী)।
স্থানীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ মিরোস্লাভ নোভাক জানিয়েছেন, গুপ্তধন আবিষ্কারের পর ওই দুই পর্বতারোহী নিজেদের পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে নিকটবর্তী এইচরাডেক ক্রালোভে শহরের পূর্ব বোহেমিয়া জাদুঘরে সেগুলো জমা দেন।
মুদ্রাগুলোর মধ্যে একটি ১৯২১ সালের গোল্ড কয়েন রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই মুদ্রাগুলো প্রায় একশ' বছর পুরনো। কে বা কেন এত মূল্যবান সম্পদ এই দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে রেখেছিল, তা নিয়ে বর্তমানে গবেষণা চলছে। জাদুঘরের মুদ্রা বিশেষজ্ঞ প্রথমেই উদ্ধারকৃত মুদ্রাগুলো পরীক্ষা করেন।
ক্রকোনোসে পর্বতমালা পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, উদ্ধারকৃত বাক্সটি হয়তো কোনো ধনী পরিবার বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লুকানো সম্পদ হতে পারে।
এই অভাবনীয় আবিষ্কার স্থানীয় ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতত্ত্ববিদদের মধ্যে নতুন করে গবেষণার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। তবে এই শতবর্ষী গুপ্তধনের আসল রহস্য এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
#গুপ্তধন #সোনার_মুদ্রা #চেক_প্রজাতন্ত্র #পর্বতারোহী #ক্রকোনোসে #প্রত্নতত্ত্ব #রহস্য #সিএনএন_নিউজ #আন্তর্জাতিক