দীর্ঘ ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে অবশেষে ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। স্যান মামেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে লন্ডনের ক্লাবটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে তাদের ট্রফি ক্যাবিনেটে নতুন সংযোজন করলো।
বুধবার (২১ মে) রাতে অনুষ্ঠিত এই জয়ের ফলে টটেনহ্যাম প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ দল হিসেবে আগামী মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে, যা তাদের জন্য এক বাড়তি অর্জন।
ম্যাচের একমাত্র এবং জয়সূচক গোলটি আসে প্রথমার্ধের শেষদিকে, ৪২তম মিনিটে। টটেনহ্যামের ওয়েলস উইঙ্গার ব্রেনান জনসনের প্রথম প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার লুক শ'য়ের গায়ে লেগে ফিরে এলেও, দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি তিনি। নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলকিপার ওনানাকে পরাস্ত করেন জনসন।
দ্বিতীয়ার্ধজুড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচে ফিরে আসার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালায়। হয়লুন্ড, লুক শ এবং গারনাচোরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও, টটেনহ্যামের দৃঢ় প্রতিরক্ষা এবং গোলকিপার ভিকারিওর সাহসী পারফরম্যান্সের কাছে পরাস্ত হয় তারা। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সাদা জার্সিধারী টটেনহ্যামের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
এই শিরোপা টটেনহ্যামের জন্য একটি বিশেষ অধ্যায়ের সূচনা। ২০০৮ সালে লিগ কাপ জয়ের পর এটিই তাদের প্রথম কোনো বড় ট্রফি, যা ক্লাবের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করলো।
অপরদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য এটি ছিল হতাশার এক রাত। খেলার বেশিরভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, তারা কাজের কাজটি করতে ব্যর্থ হয়। কোচ রুবেন আমোরিমের জন্য এই হার নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা।
ইউরোপা লিগের শিরোপা উৎসবের আবহে টটেনহ্যাম এখন প্রিমিয়ার লিগে তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে ব্রাইটনের বিপক্ষে। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শেষদিনে মুখোমুখি হবে অ্যাস্টন ভিলার। তবে এই মুহূর্তে, ইউরোপা লিগের এই রাতটিই টটেনহ্যামের জন্য ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে – একটি শিরোপার, একটি প্রত্যাবর্তনের এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের গল্প হিসেবে।