তুরস্ককে সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান
ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই তথ্য দেন।
জয়সওয়াল জানান, এরই মধ্যে দুই হাজার ৩৬৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা ছিল, আবার অনেকে সংশোধনাগারে সাজা খাটার পর মেয়াদ শেষ করেছেন। এমনকি কিছু মামলা ২০২০ সাল থেকে চলমান, যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত তথ্য যাচাই করে এসব ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
সম্প্রতি বাংলাদেশের কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর মহড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এ ধরনের কোনো সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হলে ভারত তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখে ও পর্যালোচনা করে। প্রয়োজনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পেহেলগামে হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে তুরস্কের সমর্থন জানানোয় আঙ্কারা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটেছিল। এ বিষয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, যেকোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পরস্পরের সমস্যা উপলব্ধি করার মাধ্যমেই তৈরি হয়।
তিনি জোর দেন যে, ভারত-তুরস্ক সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অন্যের উদ্বেগের প্রতি সংবেদনশীলতার ওপর নির্মিত। ভারত আশা করে, তুরস্ক পাকিস্তানকে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদে সমর্থন বন্ধ করার অনুরোধ করবে। একইসঙ্গে, কয়েক দশক ধরে চলা সন্ত্রাসী বাস্তুতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য এবং যাচাইযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোরালোভাবে বলবে।
পাকিস্তানে চীনের 'বন্ধুত্বপূর্ণ' ভূমিকা নিয়েও মুখপাত্র মুখ খুলেন। তিনি জানান, সীমান্ত-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১০ মে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই'র মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে দোভাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পাকিস্তান যে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে লিপ্ত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।