আদালত চত্বরে জামাত নেতাকর্মীদের সানগ্লাস / জুতা পড়েই শোকরানার রাজনৈতিক নামাজ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগ্রহীত

২৭ – মে মঙ্গলবার আদালতের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ডের রায় প্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল খালাসপ্রাপ্ত হন।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

 

রায়ের শেষে জামায়াত নেতাকর্মীদের শোকরানার নামায পড়তে দেখা যায় যা বিতর্কের সৃষ্টি করে। সময়টিভির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় নেতাকর্মীরা অবললীলায় আদালত প্রাঙ্গণে , জুতা এবং সানগ্লাস পড়েই নামাজে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন। কমেন্টে কেউ কেউ এ ঘটনাকে বলছেন লোক দেখানো , ভন্ডামি। কেউ বলছেন শেষ জামানা কি চলেই এলো!
জুতা পড়ে আবার কিসের নামাজ!

 

বিশিষ্ট মুফতী আলাউদ্দীন বলেন, “শোকরানার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা সম্পূর্ণ গোণাহের কাজ। এই নামাজ একাকী আদায় করতে হয়। এদের সব কিছুতেই লৌকিকতা আছে।”

 

কেউ কেউ এমন ঘটনাকে কেবল সিনেমার শুটিং বলে হাসি ঠাট্টা করছেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।

 

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।

 

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
এবং পরিশেষে আজ খালাসপ্রাপ্ত হন এই নেতা।

 

তবে, এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে এমন লোক দেখানো , নিয়মবহির্ভূত নামাজ কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ইসলামিক চিন্তাবিদেরা।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ