
ছবি : সংগ্রহীত
বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে তামাকবিরোধী জোটের ‘তামাকজাত দ্রব্যের কর প্রস্তাব ও যৌক্তিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট প্রেস কনফারেন্সে এই alarming তথ্য উঠে আসে।
বক্তারা জানান, তামাক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট অসংক্রামক রোগে প্রতি তিনজনের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা আরও উল্লেখ করেন, তামাক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে রোগাক্রান্ত করে ফেলে এবং এ খাত থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায়, তার চেয়ে বেশি অর্থ চিকিৎসায় ব্যয় হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকার তামাক কোম্পানিগুলোকে নানা সুবিধা দিলেও শুল্ক বাড়াতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
প্রেস কনফারেন্স থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু প্রস্তাবনা জানানো হয়:
* দাম বৃদ্ধি ও সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক: তামাকের দাম বাড়িয়ে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি একটি সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।
* ধোঁয়াবিহীন তামাকের জন্য ব্যান্ডরোল ও ডিজিটাল ট্যাক্স: ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের জন্য ব্যান্ডরোল এবং ডিজিটাল ট্যাক্স সিস্টেম চালু করার দাবি করা হয়।
* লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনা: তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতাদের লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনার দাবি তোলেন তারা।
* সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কার্যকর বাস্তবায়ন: তামাকজাত দ্রব্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার বলে বক্তারা মনে করেন।
* বাজার তদারকি ও তামাক চাষ নীতি: মূল্য কারসাজি রোধে বাজার তদারকি এবং তামাক চাষ নীতি দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তারা।
তামাকবিরোধী জোটের এই প্রস্তাবনাগুলো জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।