ছবি : সংগ্রহীত
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে ৩৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সফরকারীরা হাসান আলির দুর্দান্ত বোলিং তোপে মাত্র ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ৩০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে হাসান আলি পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলেন।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। হাসান আলি প্রথম বলে এসেই ওপেনার ইমনকে (ব্যক্তিগত ৪ রান) হ্যারিস রউফের তালুবন্দি করে এবং পরে তানজিদ হাসানকেও সাজঘরে ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন। দলীয় ১৪ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
অধিনায়ক লিটন দাস ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পৌঁছানোর মাত্র ২ রান আগে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তাওহিদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি এবং খুশদিল শাহর লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। দলের বাকি ব্যাটাররা সবাই এক অঙ্কের রানে বিদায় নেন। শেষ পর্যন্ত, ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।
হাসান আলির ফাইফারের পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষে ২টি উইকেট তুলে নেন শাদাব খান। এছাড়া ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ ও সালমান আগা ১টি করে উইকেট পান।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে খেই হারালেও দলীয় অধিনায়ক সালমান আগার অর্ধশতকে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক পাকিস্তান।
ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকদের দুই ওপেনিং ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের মেহেদী ও শরিফুল। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই মেহেদী প্রথম আঘাত হানেন এবং শূন্য রানে সাইম আইয়ুবকে ফেরান। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার ফখর জামান। দলীয় ৫ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
এরপর দলের হাল ধরেন সালমান আগা ও মোহাম্মদ হারিস। দু'জনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩১ ও ৫৬ রান। দলীয় ৫৩ ও ব্যক্তিগত ৩১ রানে তানজিমের বলে তানজিদের ক্যাচে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হারিস। হাসান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক আগা। মাত্র ২৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান আগা। তবে হাসানের বলে তানজিদের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিশাদের বলে বিদায় নেওয়ার আগে ২২ বলে দুর্দান্ত ৪৪ রানের এক ইনিংস খেলেন নওয়াজ, যার মধ্যে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছক্কা।
শাদাব খানের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ফাহিম আশরাফ ও খুশদিল শাহ করেন যথাক্রমে ১১ ও ৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২০১ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানের খরচায় ২টি উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ইনিংসে বোলিং করা বাকি পাঁচজনই ১টি করে উইকেট পান।
উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দু'দল।