
ছবি – সংগ্রহীত
কুড়িগ্রামের সীমান্তে এক অসাধারণ দৃশ্যের জন্ম দিলেন স্থানীয় যুবক শফিকুল। ঘোড়ার পিঠে চড়ে সীমান্তে হাজির হয়ে তিনি বললেন, “দ্রুত আসার জন্য ঘোড়া নিয়ে এসেছি। যুদ্ধ বাজলে যুদ্ধ করবো!” তার এই জ্বালাময়ী ঘোষণা স্থানীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের নতুন জোয়ার এনেছে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের খবর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর নজরদারি চালালেও কিছু অসাধু চক্র এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শফিকুলের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ সীমান্ত রক্ষায় সাধারণ মানুষের দায়িত্ববোধকে ফুটিয়ে তোলে।
শফিকুল বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অবৈধ! এক দেশের মানুষ আরেক দেশে পাঠায় দিচ্ছে , এটা কি বেআইনী না ?” ” আমি যুদ্ধের পক্ষে ” তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলাদেশ সৈনিকের পাশে আছি—আগেও আছি পিছনেও আছি !”
“সীমান্তে যে কোনো উত্তেজনা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।”
শফিকুলের এই সাহসী অবস্থানে গ্রামবাসীরা গর্জে ওঠেন। অনেকেই তাকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “সীমান্ত আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। এখানে কোনো আপস নেই!”
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “শফিকুলের মতো দেশপ্রেমিকরা আমাদের অনুপ্রেরণা। তাদের সচেতনতাই সীমান্ত রক্ষার প্রথম ধাপ।”
শফিকুলের এই আচরণ শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে লুকিয়ে থাকা অদম্য দেশপ্রেমেরই প্রকাশ। তার কথায় ফুটে উঠেছে বাংলার মাটির প্রতি মমত্ববোধ—”আমরা শান্তি চাই, কিন্তু শত্রুর মুখোশ খুলে দিতেও প্রস্তুত!”
কুড়িগ্রামের সীমান্তে আজ শফিকুলের ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ শোনা গেল—এ যেন দেশমাতৃকার ডাকে এক সাধারণ নাগরিকের অসাধারণ জবাব। তার এই সচেতনতা ও সাহস সকলকে মনে করিয়ে দেয়, “সীমান্ত রক্ষায় আমরা সবাই সৈনিক!”
নিজস্ব প্রতিবেদন
বিডি কভারেজ