ছবি : সংগ্রহীত
মেটা (Meta), অ্যামাজন (Amazon) এবং গুগল (Google)-এর মতো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের পরমাণু শক্তির পরিমাণ তিনগুণ বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন জানাতে ঐতিহাসিক একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
সিইআরএউইক (CERAWeek) সম্মেলনে স্বাক্ষরিত এই অঙ্গীকারে ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশন (WNA) সহযোগিতা করেছে, যা ইতিহাসে এই খাতের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
'লার্জ এনার্জি কনজিউমারস প্লেজ'-এর গুরুত্ব
'লার্জ এনার্জি কনজিউমারস প্লেজ' বা 'বৃহৎ শক্তি ভোক্তা অঙ্গীকার' পরমাণু খাতের বাইরে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে পরমাণু শক্তির বৃহৎ আকারের প্রসারে প্রথম প্রকাশ্য সমর্থন। এই অঙ্গীকার নেতৃস্থানীয় শিল্প, অর্থ এবং সরকারগুলোর মধ্যে পরমাণু শক্তির প্রসারের ক্রমবর্ধমান সমর্থনকে নির্দেশ করে। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র ৯ শতাংশ বিদ্যুৎ ৪৩৯টি পারমাণবিক চুল্লি থেকে উৎপাদিত হয়, তবে ক্লিন ও স্থিতিশীল শক্তির উৎস হিসেবে পরমাণু শক্তির চাহিদা বাড়ছে।
প্রযুক্তি খাতের পরমাণু শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণ
প্রযুক্তি খাত পরমাণু শক্তির দিকে ঝুঁকছে কারণ, নবায়নযোগ্য শক্তি একাই তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ডেটা সেন্টার এবং অন্যান্য উচ্চ-শক্তি-নির্ভর কার্যক্রমের জন্য স্থিতিশীল ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অপরিহার্য, যা পরমাণু শক্তি প্রদান করতে পারে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, প্রযুক্তি জায়ান্টরা তাদের বিশাল কর্মপরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশবান্ধব এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের পথ প্রশস্ত করতে চাইছে।
সূত্র: ecoportal.net