ছবি : সংগ্রহীত
পৃথিবীর ভূত্বকের গভীরে প্রায় ২৫০ মাইল নিচে রিংউডাইট নামক খনিজের মধ্যে একটি বিশাল জলভাণ্ডারের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার পৃথিবীর অভ্যন্তরে জলের সঞ্চালন এবং এর সামগ্রিক ভূতাত্ত্বিক কাঠামো সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করছে। এটি কোনো প্রচলিত সমুদ্রের মতো তরল জল নয়, বরং একটি স্ফটিক কাঠামোর মধ্যে স্পঞ্জের মতো আবদ্ধ জলের একটি বিশেষ রূপ।
নতুন এই আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, ভূপৃষ্ঠের জলের মতো এটি তরল, কঠিন বা গ্যাসীয় অবস্থায় নেই। বরং, এটি পাথরের মধ্যে আর্দ্রতা হিসেবে বিদ্যমান, অনেকটা স্পঞ্জে আটকে থাকা জলের মতো। এই বিষয়টি ভূত্বকের অভ্যন্তরে জলের অস্তিত্বের ধারণা এবং এর বিস্তৃতি নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
ভূ-পদার্থবিদরা ভূমিকম্প থেকে উৎপন্ন ভূকম্পন তরঙ্গ ব্যবহার করে এই লুকানো সমুদ্রের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন। যখন এই তরঙ্গগুলি পৃথিবীর ম্যান্টলের (ভূত্বকের নিচের স্তর) মধ্য দিয়ে যায়, তখন তারা এমন পরিবর্তন দেখায় যা রিংউডাইটের মধ্যে জলের উপস্থিতি নির্দেশ করে। এই প্রমাণগুলি আমাদের পায়ের নিচে বিশাল পরিমাণ জলের অস্তিত্বের শক্তিশালী ইঙ্গিত বহন করে।
এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে জলের অস্তিত্ব এবং এর ভূ-তাত্ত্বিক প্রভাব সম্পর্কে আমাদের দীর্ঘদিনের ধারণার পুনর্মূল্যায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। এটি পৃথিবীর গভীর স্তরে জলের ভূমিকা এবং এর ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য নতুন পথ খুলে দেবে বলে মনে করছেন
বিজ্ঞানীরা।
সোর্স: সাসটেইনেবিলিটি টাইমস
