ছবি : সংগ্রহীত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১ জুন) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।
এদিকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের নদীপাড়ের চরাঞ্চলে বন্যা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, 'কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।এবং ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় পানি ঢুকছে'।
মহিষখোচা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান মতি জানান, সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। যার ফলে চরাঞ্চলের ভূট্টা ও বাদাম চাষীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে বন্যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে। তাই তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’