
ছবি : সংগ্রহীত
ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে ইরান ব্যাপক পাল্টা অভিযান শুরু করেছে। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে এই অভিযানে তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বিবেচনায় মাটির নিচে অবস্থিত একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নেন।
শনিবার (১৪ জুন) মধ্যরাতের দিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম *টাইমস অব ইসরাইল* জানায়, নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিপরিষদ ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন। সেখানে ইরানের হামলার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে জরুরি আলোচনা চলছে।
ইরানের ওপর গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি)-এর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি ও জেনারেল হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।
এই হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আইআরজিসি-এর নতুন প্রধান নিয়োগ দেন। নতুন কমান্ডার ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, *“ইসরাইলের শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকদের জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়া হবে।”*
অত:পর,
নতুন আইআরজিসি প্রধানের হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে কয়েকশ মিসাইল নিক্ষেপ করে। ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’-এর আওতায় ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা ও কৌশলগত অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (আয়রন ডোম) বেশ কিছু মিসাইল ধ্বংস করতে সক্ষম হলেও, কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এই হামলার পর থেকে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ইসরাইল ইতিমধ্যেই পাল্টা সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংঘাত যাতে আরও না বাড়ে, সে জন্য উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এই সংঘাতের ফলে পুরো মধ্য প্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, অত্যাচারী ইসরায়েলের এমন বেগতিক দশায় মনে মনে প্রশান্তির হাসি হাসছেন শান্তিপ্রেমীরা।