জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ১০ খেলায় প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগ্রহীত

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি), যা দেশের সকল ফেডারেশন ও ক্রীড়া সংস্থার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান, তাদের বাৎসরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ফুটবল ও ক্রিকেট বাদে বেশিরভাগ ফেডারেশনের আর্থিক দুর্বলতার কারণে প্রতিভা অন্বেষণে সীমাবদ্ধতা থাকায় এনএসসি এই উদ্যোগ নিয়েছে।

১৬৮ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যাদের বয়স অনূর্ধ্ব-১৬। আজ রাজধানীর হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এই অন্বেষণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, এনডিসি।

আগামী দশ দিন ধরে মোট দশটি খেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে:
* দাবা (বালক, বালিকা)
* বাস্কেটবল (বালিকা)
* হ্যান্ডবল (বালক)
* জুডো (বালক, বালিকা)
* কাবাডি (বালিকা)
* ক্রিকেট (বালক)
* ভারোত্তোলন (বালক, বালিকা)
* জিমন্যাস্টিক্স (বালক, বালিকা)
* ভলিবল (বালিকা)
* সাইক্লিং (বালক, বালিকা)

 

প্রশিক্ষণ শেষে মেধাবী তরুণ-তরুণীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনে পাঠানো হবে।

 

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিগত বছরগুলোতেও প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম চালিয়েছে। তবে মাঝে মাঝে প্রতিভা পাওয়া গেলেও তা ধরে রাখতে না পারার মতো অসঙ্গতি দেখা গেছে। ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর এবার এই অসঙ্গতি দূর করতে চান। তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণের পর আমরা তালিকা ফেডারেশনে পাঠাব। ফেডারেশনের সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করব। জুনিয়র টুর্নামেন্ট কিংবা অন্য প্রতিযোগিতায় এরা যেন অংশগ্রহণ করে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, সেটার খোঁজ রাখা হবে।”

 

এবার জেলাগুলো থেকে প্রতিটি খেলায় একজন করে খেলোয়াড় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, যেখানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচরা প্রাথমিক ট্রায়াল নিয়েছেন এবং এর ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের বাছাই করেছেন। বাছাইকৃত খেলোয়াড়রাই আগামী দশ দিনের প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। বিগত বছরগুলোতে কিছু ক্ষেত্রে কোচরা জেলায়-জেলায় খেলোয়াড় বাছাই করেছেন এবং সেই খেলোয়াড়রা পরে ঢাকায় এসে সপ্তাহ কয়েকের ট্রেনিং পেয়েছেন।

 

প্রতিভা অন্বেষণের জন্য বছরে এক কোটি টাকার উপর বাজেট থাকলেও, অন্বেষণের সঠিক ও কার্যকরী নীতিমালার অভাবে এই কর্মসূচি থেকে বিগত সময়ে তেমন কার্যকরী প্রভাব পড়েনি। এবার এনএসসি এই কার্যক্রমে আরও বেশি সমন্বয় ও ফলোআপ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

 

এই প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ