“প্রমিজ ল্যান্ড” কে রক্ষা না করে পালাচ্ছে ইসরায়েলিরা: যুদ্ধের মধ্যেও বাড়ছে দেশত্যাগ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগ্রহীত

গাজা সংঘাতের তীব্রতা ও ইসরায়েলি বিমানবন্দরগুলোর অস্থায়ী বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি নাগরিক নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশ ছাড়ছেন। গত কয়েক সপ্তাহে এই প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যদিও গাজা, সিরিয়া বা ইরাকের মতো সর্বাত্মক সংকট তৈরি হয়নি, তবুও নিরাপত্তাহীনতা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় অনেকেই ইসরায়েল ছেড়ে যাচ্ছেন।

সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ইসরায়েলিরা বিকল্প পথ বেছে নিচ্ছেন। তারা প্রথমে স্থলপথে মিশরের ‘সিনাই উপদ্বীপ’ হয়ে ‘কায়রো’ পৌঁছাচ্ছেন, তারপর সেখান থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ইউরোপ, আমেরিকা বা অন্যান্য নিরাপদ দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এই রুটটি বর্তমানে ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য প্রধান নিরাপদ পথ হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েল রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি করলেও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ, হামাসের রকেট হামলা, উত্তপ্ত উত্তর সীমান্ত (লেবাননের সাথে সংঘর্ষ) এবং ইরানের হুমকি—এসব কারণে অনেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। বিশেষ করে যেসব পরিবারের সদস্যরা সামরিক বাহিনীতে নেই বা যুদ্ধের সরাসরি ঝুঁকিতে আছেন, তারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে দেশত্যাগের এই প্রবণতা ইসরায়েলের জন্য বড় ধরনের মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যদিও এটিকে “অস্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা” বলে উড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু বিপুল সংখ্যক নাগরিকের বিদেশে পাড়ি জমানো রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রশ্ন তুলছে।

ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী এটি তাদের “প্রতিশ্রুত ভূমি” হলেও, যুদ্ধের ভয় ও অনিশ্চয়তা অনেক ইসরায়েলিকেই এই ভূমি ছাড়তে বাধ্য করছে। এই প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে তা দেশটির জনশক্তি, অর্থনীতি ও মনোবলের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ