ছবি : সংগ্রহীত

ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধা নিয়েও ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয়নি ইন্টার মায়ামির। মিশরীয় ক্লাব আল-আহলির সঙ্গে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের ওপর ছিল বাড়তি চাপ। তবে এই চাপ সামলে দৃষ্টিনন্দন ফ্রি-কিকের মাধ্যমে আমেরিকান সকারের ক্লাবটিকে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ ম্যাচে জয় এনে দিলেন লিওনেল মেসি।

পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোকে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল পোর্তো, যার রেশ ছিল পুরো প্রথমার্ধজুড়ে। বিরতির পর মেসি-সুয়ারেজরা ছন্দে ফেরেন এবং দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসেন। আর্জেন্টাইন মহাতারকার দৃষ্টিনন্দন গোলেই মায়ামির জয় নিশ্চিত হয়। এই গোলের মাধ্যমে মেসি ফিফার সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার হয়েছেন।

৩২ দল নিয়ে বৃহৎ পরিসরে চলছে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ আসর, যেখানে প্রথমবারের মতো খেলছে ফ্লোরিডার ক্লাব ইন্টার মায়ামি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব আশাব্যঞ্জক না হলেও, মেসি দলে থাকায় ভক্তদের আত্মবিশ্বাস থাকা অস্বাভাবিক ছিল না। পোর্তোর বিপক্ষে সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন দেখা গেল। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পোর্তোর জোয়াও মারিওকে ডি-বক্সে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে রেফারি পেনাল্টি দেন এবং সামু আঘেহোয়ার গোলে পোর্তো ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বাকি সময় পোর্তো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে এবং লিড দ্বিগুণ করার সুযোগও পেয়েছিল। অন্যদিকে, মেসি একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সতীর্থদের ব্যর্থতায় পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মায়ামি।

দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচে ফেরে মেসি-মাসচেরানোর দল। ডি-বক্সের ভেতর হাফ-ভলিতে তেলাস্কো সেগোভিয়া মায়ামির পক্ষে গোল করে সমতা ফেরান। মার্সেলো উইগান্ধটের মাপা ক্রস থেকে এই গোল আসে। এরপরই লিড নেওয়ার পালা। পোর্তোর রদ্রিগো মোরা মেসিকে ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করলে মায়ামি একটি ফ্রি-কিক পায়। সেখান থেকে নিজের আইকনিক বাঁ পায়ের বাঁকানো শট নিতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

তার ফ্রি-কিক শটে বল পোর্তোর জালে জড়ায় একেবারে ডানবারের কোণা দিয়ে। এটি ছিল ফিফা ইভেন্টে মেসির ২৫তম গোল। এর মধ্য দিয়ে ২০ বছরে ১০টি টুর্নামেন্ট খেলে ফিফার প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে দুই দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে স্কোরলাইন পরিবর্তনের চেষ্টা চালায়, তবে কেউই আর জালের দেখা পায়নি। ফলে মায়ামি ২-১ গোলে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পায়।

দুই ম্যাচে মায়ামি একটি করে জয় ও ড্র নিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে রয়েছে। নকআউট পর্বে ওঠার লড়াইয়ে এই দুই দলই এখন এগিয়ে রয়েছে।