ছবি : সংগ্রহীত

গল টেস্টে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্রতে নিষ্পত্তি হয়েছে। টাইগার ক্রিকেটভক্তদের মধ্যে আক্ষেপ ঝরেছে, অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশ আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করলে জয়ের সুযোগ পেতে পারত। এই ম্যাচে অভিষিক্ত লঙ্কান স্পিনার থারিন্দু রত্ননায়েকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড গড়েছেন।

এতদিন পর্যন্ত এক টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করার রেকর্ড ছিল জিম্বাবুয়ের তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার, যিনি ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ২৩৭ রান দিয়েছিলেন। গতকাল শেষ হওয়া গল টেস্টে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন শ্রীলঙ্কার দুজন। দুই ইনিংস মিলিয়ে থারিন্দু রত্ননায়েকের ৬টি উইকেট শিকার করলেও, তিনি ২৯৮ রান খরচ করেছেন, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড।

অভিষেকে থারিন্দুর খরুচে রেকর্ড ও অন্যান্য পরিসংখ্যান
অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ রান খরচের তালিকাতেও শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছেন থারিন্দু রত্ননায়েক। ২৯ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে গল টেস্ট দিয়ে। ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩৭ উইকেট শিকার করা এই দো-হাতি স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন সবচেয়ে খরুচে, ৪৯.২ ওভারে তিনি দিয়েছেন ১৯৬ রান। ইকোনমি ছিল ৩.৯৭, যা টেস্টের এক ইনিংসে শ্রীলঙ্কান কোনো বোলারের সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশটির আর কেউই এক টেস্টে এত রান দেননি।
থারিন্দু অবশ্য হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন দু'জনের জন্য, যারা এক টেস্টে তার চেয়েও বেশি রান খরচের রেকর্ড নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন। ২০০৮ সালে নাগপুরে টেস্ট অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে ৩৫৮ রান দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার জেসন ক্রেইজা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেট নিলেও এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান খরচের বিব্রতকর রেকর্ডটি এখনো তার দখলে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের জাহিদ মেহমুদ ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট নিয়ে দিয়েছেন ৩১৯ রান।

এছাড়া এক টেস্টে রান খরচের এই তালিকায় শীর্ষ দশে আছেন থারিন্দু রত্ননায়েক (২৯৮/৬), ইংল্যান্ডের ডোনাল্ড কার (২৮২/৭) ও টিচ ফ্রিম্যান (২৫৮/৫), অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঙ্ক ওয়ার্ড (২৪০/৮), ইংল্যান্ডের ডগ রাইট (২৩৮/৫), ভারতের কার্ন শর্মা (২৩৮/৪) ও পাকিস্তানের আবরার আহমেদ (২৩৪/১১)। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এক টেস্টে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড রয়েছে সোহাগ গাজীর নামে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে তার বোলিং ফিগার ছিল ২১৯/৯। এছাড়া নাহিদ রানা গত বছর লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে দেন ২১৫ রান।

এদিকে, শ্রীলঙ্কার আরেক স্পিনার প্রবাথ জয়াসুরিয়াও রান দেওয়ায় রেকর্ড গড়েছেন। জয়াসুরিয়া এই ম্যাচে দিয়েছেন ২৪৬ রান, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে থারিন্দু-জয়সুরিয়া মিলে এক ম্যাচে দিলেন ৫৪৪ রান। এছাড়া ঘরের মাঠে ২৪০ রানের বেশি খরচের রেকর্ড গড়লেন থারিন্দু-জয়সুরিয়া উভয়ই।