ইরানের পাল্টা হুং/কার: মার্কিন নাগরিক ও সেনারা বৈ-ধ লক্ষ্য, ইস*রায়ে-ল আকাশসীমা বন্ধ করল

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগ্রহীত

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পর পাল্টা হুংকার দিয়েছে ইরান। দেশটির ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় রাতের আঁধারে এসব হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ঘোষণা করেছে যে, এখন থেকে অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি মার্কিন নাগরিক ও সেনা তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্য। এই উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
রোববার (২২ জুন) বার্তা সংস্থা আনাদোলু ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা পৃথকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে।

আনাদোলু জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রোববার এক ঘোষণায় বলেছে, “এখন থেকে এই অঞ্চলে অবস্থানরত প্রতিটি মার্কিন নাগরিক এবং সেনাসদস্য (হামলার) বৈধ টার্গেট।” এই মন্তব্যের কয়েক দিন আগেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়বে যা কখনোই পূরণ করা সম্ভব হবে না।”

 

এর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে একযোগে ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান) সামরিক হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “আমাদের এই সফল অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে আমরা সফল হামলা চালিয়েছি।”

 

এর জবাবে ইসরায়েল সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় চলে গেছে। তারা শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেছে, গণজমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের কাজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া ইসরায়েল তাদের আকাশসীমাও বন্ধ ঘোষণা করেছে।

 

ইসরায়েলি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েলের আকাশসীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগমন ও বহির্গমন উভয়ের জন্যই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।” তবে বিমান চলাচল বন্ধ হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, মিসর ও জর্ডানের সঙ্গে স্থল সীমান্ত পারাপার চালু থাকবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ