
ছবি : সংগৃহীত
২৭ মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ওয়েবসিরিজ “স্কুইড গেম”-এর তৃতীয় ও চূড়ান্ত সিজন। প্রথম সিজন যেমন বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছিল, তৃতীয় সিজনও সেই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়েছে। তবে এবারের গল্প দর্শকদের মনে রেখে গেছে এক গভীর দুঃখবোধ।
এই সিজন জুড়ে দর্শকদের উত্তেজনায় আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শেষ পর্বের ক্লাইমেক্স দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন। যদিও গল্পের মূল কাঠামো নিয়ে দর্শকরা সন্তুষ্ট, তবুও বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে তাদের মনে—যার উত্তর সিরিজজুড়ে স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও, তৃতীয় সিজন নিয়ে অভিযোগের হার খুবই কম।
শুক্রবার একসাথে ৬টি পর্ব মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যেখানে গেমের ভেতর ও বাইরের ঘটনাপ্রবাহ পাশাপাশি এগিয়েছে। এই সিজনে মোট ৩টি মারাত্মক খেলা দেখানো হয়েছে, যেখানে একের পর এক খেলোয়াড়ের মৃত্যু ঘটেছে। গল্পে ফুটে উঠেছে অর্থলোভ কীভাবে মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়-যা বাস্তব জীবনেরই এক প্রতীকী চিত্র।
তৃতীয় সিজন প্রমাণ করেছে যে স্কুইড গেম শুধু টাকা আর লোভের গল্প নয়। এর গভীরে রয়েছে “মানবতার বার্তা”। প্রথম সিজনের শেষে যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তা এই সিজনেও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। এমনকি প্রধান ভিলেন “ফ্রন্টম্যান” এর চরিত্রেও পরিবর্তন এসেছে, যার হৃদয়ে শেষ পর্যন্ত দয়ার উদ্রেক হয়েছে।
মূল চরিত্র “সঙ গি হুন”-এর পরিণতি প্রমাণ করে যে মানবতাই পৃথিবীর একমাত্র সত্য। তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এখনও বিশ্বে ভালো মানুষ রয়েছেন, যারা মানবতাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত গি হুন তার লক্ষ্যে সফল হয়—স্কুইড গেমের অ্যারেনা ধ্বংস’ হয় এবং কোরিয়ায় এই নৃশংস খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তবে এর জন্য তাকে একটি বড় মূল্য দিতে হয়েছে।
সিজন ৩-এর শেষে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেট ব্লানচেট একটি বিশেষ চরিত্রে ক্যামিও করেছেন। তার উপস্থিতি যেন স্কুইড গেমের সম্ভাব্য নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন থেকে যায়—সত্যিই কি এই প্রাণঘাতী খেলার অবসান হলো, নাকি এটি নতুন রূপে ফিরে আসবে?
স্কুইড গেমের চূড়ান্ত সিজন দর্শকদের জন্য রেখে গেছে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা, যা নিয়ে আলোচনা আরও অনেকদিন চলবে। গল্পের উত্তেজনা, আবেগ ও গভীর বার্তা এই সিরিজকে করে তুলেছে অনন্য।