ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কাতার একটি নতুন বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে, যা যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, এই প্রস্তাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, পর্যায়ক্রমে বন্দি মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রস্তাবের মূল শর্তসমূহ হলো - যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি। যেখানে বলা হয়,
প্রথম দিনেই ৮ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
যুদ্ধবিরতির ৫০তম দিনে অতিরিক্ত ২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
১৮ জন বন্দির মরদেহ তিন ধাপে ফেরত দেওয়া হবে।
সেনা প্রত্যাহার ও মানবিক সহায়তা-
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মোড়াগ (Morag) অঞ্চল থেকে সরে যাবে।
গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সহ মানবিক সহায়তার প্রবাহ বাড়ানো হবে।
চুক্তির সম্ভাবনা ও মতপার্থক্য
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিটি শীঘ্রই সম্পন্ন হতে পারে, তবে এখনও কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা চলছে:
যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিশ্চিত করা।
ইসরায়েলি সেনা কতটুকু প্রত্যাহার করবে, তা নিয়ে সমঝোতা।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রস্তাবটি ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
হামাসের পক্ষ থেকে এখনও সরাসরি মন্তব্য আসেনি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র আলোচনাকে ত্বরান্বিত করতে চাপ দিচ্ছে।
এই চুক্তি কার্যকর হলে গাজায় ৬০ দিনের শান্তি নিশ্চিত হবে এবং বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতে পারে। তবে যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান এখনও অনিশ্চিত।