জাতীয় ঐকমত্য গঠনে বিএনপির সর্বোচ্চ সহযোগিতা: সালাহ উদ্দিন আহমদ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, তার দল সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অর্থবিল ও আস্থাভোট ছাড়া বাকি বিষয়ে পার্লামেন্ট সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন—এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।

বুধবার (২ জুলাই) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অষ্টম দিনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।

 

আজ আলোচনার বিষয় ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মধ্যে কী সংশোধনী আনা যায়, এতে বিচার বিভাগকে না রেখে উত্তম কোনো প্রস্তাব আছে কি না—সে বিষয়ে সবার মতামত।

 

নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি
সালাহ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন, যেটিতে সবাই ঐকমত্য। আর্টিকেল ১১৯-এ এটি দেওয়া আছে। তবে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি বডি বা বিশেষায়িত কমিশন করার প্রস্তাবে দ্বিমত থাকলেও, তারা একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন এবং আইন সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় পুনর্বহাল, পুনর্বহালের রিভিউ বিচারাধীন অবস্থায় আছে, আশা করি রায় জনগণের পক্ষে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন প্রণালীতে দেখা যায়, এটি বিচারালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইমিডিয়েটলি, অবসরপ্রাপ্ত চিফ জাস্টিস দিয়ে শুরু হয়, সর্বশেষ অ্যাপিলড ডিভিশন দিয়ে শেষ হয়। কোনো বিধান দিয়ে একমত না হলে, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতিকে করা হয়। পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আলোচনা হবে, তবে এখন যদি তারা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে বলতে পারেন, বিচার বিভাগকে বাদ রেখে আরও দু-একটি পথ রাখা যায়, যেটা সবার গ্রহণযোগ্যতা ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ হয় এবং প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে উপদেষ্টা নিয়োগ হবে। যাদের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা আছে, তাদের কনসিডার করা যায়নি।

বিএনপিকে ঐকমত্য সংস্কারে বাধা হিসেবে মন্তব্য করা হচ্ছে—এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, জাতির সঙ্গে একটি ঐক্যমতে আসার জন্য নিজ উদ্যোগে তারা প্রধানমন্ত্রীর জীবদ্দশায় ১০ বছরের বেশি নয়, এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। যাতে আর কেউ স্বৈরাচার হয়ে না আসতে পারে এবং সরকার ব্যবস্থায় একটি ভারসাম্য থাকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদের ক্ষেত্রে বিএনপি প্রস্তাব দিয়েছে, তিন মাস বা ৯০ দিন। যদি কোনো কারণে বিলম্বিত হয়, আরও এক মাসের একটি বিধান রাখা যেতে পারে সংবিধানে। তবে স্থির থাকতে হবে তিন মাসেই, এখানে তারা তাদের মতামত দিয়েছেন।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানে তো স্থানীয় সরকার নির্বাচন নেই। নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে দুটি জিনিস—একটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন এবং আরেকটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেটা এখনো বহাল আছে, তাতে কোনো সংশোধন আসেনি। প্রস্তাব তো যে কেউ দিতেই পারে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ