
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরের কাজের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীন মুকুল, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য ইশরাত জাহান লিপি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এক মাস পর জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি হবে। বাংলাদেশের মানুষ এক অপ্রতিরোধ্য লড়াই আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল এই জুলাই মাসে। কিন্তু বছর না পেরোতেই মানুষের সেই আশা ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে। এক বছরেও সরকার আহত-নিহতদের একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলছে নানা টালবাহানা, ফলে জুলাইয়ের আহতরা প্রায়ই হাসপাতাল থেকে রাস্তায় নেমে আসছেন।
তারা আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয়ে সারা দেশে মব সন্ত্রাস সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই মবকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে বরং কিছু ক্ষেত্রে উসকানোর ঘটনাও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তাছাড়া জুলাই আন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী শক্তি ছিলেন এ দেশের নারীরা। অথচ সেই নারীদের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে সবার আগে। উগ্রবাদী শক্তি সারা দেশেই নারীদের স্বাধীন চলাফেরার ওপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে, হামলা হয়েছে আদিবাসীদের ওপর ও মাজারে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু যেসব বিষয় নিয়ে সবার ঐকমত্য আছে সেসব সংস্কারকে এগিয়ে নিতে সরকার গড়িমসি করছে। আবার ঐকমত্য কমিশনে যে আলোচনা হচ্ছে সেখানে শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া মানুষের কিংবা আদিবাসী, দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা নেই। অর্থাৎ শুধু রাষ্ট্রের উপরিকাঠামোতে পরিবর্তন করে কোনো কার্যকর পরিবর্তন আনা যাবে না।