
ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচিতে একটি জরাজীর্ণ পাঁচতলা আবাসিক ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা রেসকিউ ১১২২ এর মুখপাত্র হাসান উল হাসিব খান নিহতের এই চূড়ান্ত সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে করাচির লিয়ারি এলাকায় ৩০ বছর পুরনো ভবনটি হঠাৎ ধসে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ৭ জন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর আসে।
ধীরে ধীরে উদ্ধারকাজ এগিয়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রোববার পর্যন্ত তা ২৭ জনে পৌঁছায়। নিহতদের মধ্যে ১৫ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক,যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
জানা যায়, উদ্ধারকারী দল ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। ভারী যন্ত্রপাতি ও আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ সরানো হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, অধিকাংশ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হয়েছে এবং কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ভবনের অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই এর মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সতর্কতামূলকভাবে পাশের আরও দুইটি ভবন খালি করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবন মালিক, নির্মাণ সংস্থা ও নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় কি এই দুর্ঘটনা ঘটেছে—তা খতিয়ে দেখা হবে।
পাকিস্তানে জরাজীর্ণ ভবন ধসের ঘটনাপ্রায়ই ঘটে। নির্মাণ নীতিমালা লঙ্ঘন, দুর্বল তদারকি ও ভূমিকম্প প্রতিরোধী কাঠামো না থাকায় এমন ঘটনা ঘটে। গত কয়েক বছরে করাচি, লাহোর ও পেশোয়ারে একাধিক ভবন ধসে কয়েকশ লোক প্রাণ হারিয়েছে।