
ছবি : সংগৃহীত
ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গত ২০২৪ সালের রেকর্ড ছুঁইছুঁই। ফেনীর পরশুরাম ও সুবার বাজার পয়েন্টে বেগুনী ও লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ফেনীতে ৪২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বন্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর ফলে ফেনী শহরের ৯০% এলাকা জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত।
ফেনীর ফুলগাজি ও পরশুরাম উপজেলায় অন্তত ৮টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তের বল্লামুখা বেড়িবাঁধও মারাত্মক ঝুঁকিতে। মুহুরী নদীর উৎপত্তি ত্রিপুরায় হওয়ায় সেখানকার ভারী বর্ষণও ফেনীর বন্যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (BWOT) জানিয়েছে, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও ত্রিপুরা সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। নদীসংলগ্ন নিচু এলাকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা আহ্বান জানিয়েছেন “আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন”
স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করেছে। স্থানীয় নেতারা ফেনীবাসীকে ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “পুরো বাংলাদেশ আপনাদের পাশে আছে। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।”
সূত্র : বাংলাদেশ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (BWOT)