
ছবি : সংগৃহীত
গত রাতে ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় একদল সশস্ত্র কিশোর গ্যাংয়ের নির্মম হামলার শিকার হয় এক যুবক। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সাহসী ভূমিকায় সন্ত্রাসীরা পালাতে বাধ্য হয় এবং তাদের নেতাকে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, রাতের অন্ধকারে টিকাটুলি এলাকায় দেশি অস্ত্রসহ ৭-৮ সদস্যের একটি কিশোর গ্যাং একটি যুবককে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। তারা তাকে বাইকের হেলমেট ও বেল্টের বাকল দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ভুক্তভোগীর মাথার সামনে ও পিছনে গুরুতর জখম হয়। এরপর যখনই ইট দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করতে যাবে ঠিক তখনই এক প্রত্যক্ষদর্শী চিৎকার করে ধর ধর বলে স্থানীয়দের নিয়ে ধাওয়া করেন।
ঘটনাস্থলেই এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করেন। অত:পর, ভয়ে গ্যাংয়ের সদস্যরা ভুক্তভোগীকে ফেলে পালিয়ে যায়। তবে জনতা তাদের দলনেতাকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মিডফোর্ডে যা হয়েছিল, সেখানে যদি জনতা এভাবে এগিয়ে আসতেন, হয়তো সেই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঠেকানো যেত।”
ধরপাকড় হওয়া সন্ত্রাসী নেতা ওয়ারীর বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি ফিটনেস জিমে ওয়ার্কআউট করত বলে জানা গেছে। পুলিশ তার মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও প্রমাণ পেয়েছে। ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
আক্রান্ত যুবককে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, “এরা প্রথমে সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করে, পরে মামা-চাচার দলীয় শক্তির আশ্রয়ে পার পেতে চায়। এভাবে অপরাধী চক্র দেশে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে।”
ঘটনার ভিডিও ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের সচেতনতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, “এভাবেই প্রতিটি অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, আটক সন্ত্রাসীর কাছ থেকে গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।