
ছবি : সংগৃহীত
মোটরসাইকেলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর সেগমেন্টগুলোর মধ্যে ৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইকগুলো অন্যতম। উচ্চ পারফরম্যান্স, তীক্ষ্ণ হ্যান্ডলিং এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এই বাইকগুলো ট্র্যাক ও রাস্তা উভয় ক্ষেত্রেই রাইডারদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়। ২০২৫ সালেও এই ক্যাটাগরির বাইক গতিপ্রেমীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ ধরে রেখেছে, যদিও বাংলাদেশে উচ্চ সিসির বাইকের অনুমোদন নেই।
৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইকের বৈশিষ্ট্য
মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক অনলাইন ম্যাগাজিন Motorcyclistonline-এর তথ্য অনুযায়ী, ৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইকগুলো সাধারণত ইনলাইন-ফোর সিলিন্ডার বা প্যারালাল-টুইন ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়, যা উচ্চ আরপিএমে অসাধারণ শক্তি উৎপাদন করে। উন্নত সাসপেনশন, শক্তিশালী ব্রেকিং সিস্টেম এবং রাইডার এইডস (যেমন- ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, এবিএস, কুইকশিফটার) এদের পারফরম্যান্সকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
২০২৫ সালের সেরা ৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইকগুলো হাই-পারফরম্যান্স এবং ট্র্যাক-রেডি মোটরসাইকেল হিসেবে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী এই সেগমেন্টের কিছু জনপ্রিয় মডেল নিচে তুলে ধরা হলো, যা পারফরম্যান্স, হ্যান্ডলিং এবং প্রযুক্তির দিক থেকে সেরা:
২০২৫ সালের সেরা ৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইক
১. Kawasaki Ninja ZX-6R (কাওয়াসাকি নিনজা জেডএক্স-৬আর)
* বৈশিষ্ট্য: এটি ৬৩৬ সিসির ইঞ্জিন, রেসপনসিভ হ্যান্ডলিং এবং চমৎকার ট্র্যাক পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত। দামের বিচারেও এটি পারফরম্যান্সের সঙ্গে দারুণ সমন্বয় করে।
* বিশেষত্ব: রাস্তা এবং ট্র্যাক উভয় ক্ষেত্রেই এর পারফরম্যান্স দুর্দান্ত।
২. Aprilia RS 660 (এপ্রিলিয়া আরএস ৬৬০)
* বৈশিষ্ট্য: এটির ইঞ্জিন ৬৫০ সিসির কাছাকাছি হলেও, এর পারফরম্যান্স এবং হ্যান্ডলিং এটিকে ৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইকগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। এর প্যারালাল-টুইন ইঞ্জিন ১০০ হর্সপাওয়ারের বেশি শক্তি উৎপন্ন করে।
* বিশেষত্ব: তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক এবং প্রতিদিনের রাইডিংয়ের জন্যও উপযুক্ত, এটিকে একটি বহুমুখী স্পোর্টসবাইকও বলা যায়।
৩. Honda CBR600RR (হোন্ডা সিবিআর৬০০আরআর)
* বৈশিষ্ট্য: হোন্ডা কোম্পানির এই ইনলাইন-ফোর ইঞ্জিন স্পোর্টসবাইকটি তার মসৃণ পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। এটি রেসিং ট্র্যাকের জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী এবং রাস্তায় রাইডিংয়ের ক্ষেত্রেও বেশ উপযোগী।
* বিশেষত্ব: এটি ক্লাসিক ৬০০ সিসির স্পোর্টসবাইকের অনুভূতি দেবে।
৪. Suzuki GSX-R600 (সুজুকি জিএসএক্স-আর৬০০)
* বৈশিষ্ট্য: সুজুকির এই বাইকটি রেসিং ঐতিহ্যের ধারক। এর শক্তিশালী ইনলাইন-ফোর ইঞ্জিন এবং তীক্ষ্ণ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য এটিকে ট্র্যাকের আদর্শ বাইক হিসেবে ধরা হয়।
* বিশেষত্ব: আইকনিক সুপারস্পোর্ট ডিজাইন এবং রেসিং সক্ষমতার জন্য পরিচিত।
৫. Yamaha YZF-R7 (ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ-আর৭)
* বৈশিষ্ট্য: এই বাইকটি ইয়ামাহা R6-এর মতো ট্র্যাককেন্দ্রিক না হলেও, R7 দেবে ব্যালেন্সড পারফরম্যান্স। এর ৭০০ সিসির CP2 ইঞ্জিন এটিকে ৬০০ সিসি স্পোর্টসবাইকের বিকল্প হিসেবে রাইডারদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
* বিশেষত্ব: যারা ট্র্যাকের জন্য অতিরিক্ত পারফরম্যান্সের পরিবর্তে ব্যবহারিকতা এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্যতা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প।
সোর্স: Motorcyclistonline